হারিয়ে যওয়া দেশীয় জাতের বীজ বিনিময়, প্রদর্শণী ও বিপননের জন্য আজ ১৩ মার্চ বটিয়াটার বৃত্তিশলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হলো গ্রামীণ বীজমেলা ২০২৫। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ এর আয়েজনে অনুষ্ঠিত এই মেলায় এলাকার শতাধীক নারী কৃষক তাদের সংরক্ষিত বীজ নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় জাতের বীজ সংরক্ষণ, কৃষকদের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন, জলাবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো, কৃষকের জ্ঞান বিনিময় এবং স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে বৃত্তিশলুয়া কৃষক সংগঠন এবং ৪০টি কৃষক সংগঠনের সমন্বিত জোট মৈত্রী কৃষক ফেডারেশন মেলাটির সহআয়োজক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। বৈচিত্র্যময় বীজ মেলার প্রত্যেকটি স্টলে কমপক্ষে ৫০ থেকে চার শতাধিক জাত ও প্রজাতির ফলজ, বনজ ও সবজির স্থানীয় বীজ প্রদর্শীত হয়।
উন্নয়ন সহযোগি মিজরিওর জার্মানীর সহযোগিতায় গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো: মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে¡, বৃত্তিশলুয়া কৃষক সংগঠনের সভাপতি বিভাষ মণ্ডলের সঞ্চালনায় এবং লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া মেলা শেষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা তান্নী এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডা: মো: তরিকুল ইসলাম, খগেন্দ্রনাথ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু বিশ্বাস, পূজা উদযাপন ফ্রন্ট খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ হালদার, মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, অধ্যাপক পঞ্চানন মণ্ডল, অধ্যাপক তাপস মল্লিক, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজীব বিশ্বাস, বিএডিসি’র উপসহকারী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন, সমাজ সেবক মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার, নারী কৃষক বন্দনা রায়, মো: আউয়াল ফারাজী।
মেলায় প্রদর্শিত বীজের স্টলগুলো থেকে বীজের সংখ্যা, বীজের বৈচিত্র্যময়তা, বীজের মান এবং বীজ উপস্থাপন কৌশলের উপর ভিত্তি করে একটি নির্বাচনী প্যানেলের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী নারী কৃষকদের মধ্যে সুকদাড়া গ্রামেন করুণা মণ্ডলকে প্রথম, বিধবা নারী নমিতা সরকারকে দ্বিতীয় এবং ঝড়ভাঙ্গা গ্রামের লক্ষী রাণী মণ্ডলকে তৃতীয় স্থান নির্বাচিত করে পুরষ্কার প্রদানসহ মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল নারী কৃৃষকদের পুরষ্কৃত করা হয়েছে। মেলায় স্থানীয় ১৬টি গ্রামের নারী কৃষকরা ব্যতিক্রমধর্মী এই বীজ মেলায় তাদের সংগৃহীত ও সংরক্ষিত বীজ প্রদর্শন ও বিনিময় করেছেন।
খুলনা গেজেট/এমএম